প্রতিনিধি ১৫ আগস্ট ২০২৫ , ৫:১৫:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আজ শুক্রবার ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার ঐতিহাসিক বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ ও অঞ্চল বিনিময় ইস্যু প্রধান আলোচ্য বিষয় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের বড় অংশের ওপর দাবি করে আসছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন ওই সময় ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেন। পরে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহ শুরু হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট বছর ধরে চলা সংঘর্ষে ইউক্রেনের ১৪ হাজার সেনা ও বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ২০২২ সালে পুতিন পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করলে রুশ বাহিনী দক্ষিণ ইউক্রেনের বেশ কিছু অংশ দখল করে।
বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ২০ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ২৭ শতাংশ। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। ইউরোপীয় মিত্ররাও যুদ্ধ বন্ধে জোর দিচ্ছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। তবে সম্মেলনের আগেই তিনি ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল বিনিময়ের প্রস্তাব দেন, যা কিয়েভ ও ইউরোপকে হতবাক করে।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের পুরো অংশ ছাড়াও আশপাশের অঞ্চল দখলে নিতে চায়। এর মধ্যে ক্রামাটোরস্ক ও স্লোভিয়ানস্ক অন্তর্ভুক্ত, যেগুলোর জন্য ইউক্রেন বহু সেনা হারিয়েছে।
“ইউক্রেন দনবাস ছাড়বে না,” মঙ্গলবার বলেন জেলেনস্কি।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভেট্টি ফক্স নিউজকে জানান, “বৈঠকে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে ট্রাম্প সব ধরনের সুযোগ বিবেচনা করবেন।” দুই নেতা একান্ত বৈঠকের পর মধ্যাহ্নভোজ ও সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানায়, পুতিন ট্রাম্পের উদ্যোগকে ‘আন্তরিক’ হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
এদিকে ইউরোপ সফরে থাকা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করেন। যৌথ বিবৃতিতে স্টারমার বলেন, “পুতিনকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি শান্তি চান।” জেলেনস্কি পরে জার্মানিও সফর করেন।