প্রতিনিধি ৯ জুলাই ২০২৫ , ১:৩৪:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নিহত সাদমান ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কে এম আনিছুর রহমানের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে থাকতেন তিনি। নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী হলেন বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে অরিত্র হাসান ও বগুড়া সদরের নারুলি দক্ষিণের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে আসিফ আহমেদ। তাঁরা দুজনও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ ও আবাসিক হলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মূলত লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত। এসময়টাতে পেচারদ্বীপ সমুদ্রসৈকতের দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত জেড স্কী দিয়ে তল্লাশী চালানো হয়েছে। কিন্তু নিখোঁজ দুজনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশী চালানো হয়েছে, কিন্তু কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
মো. ইমতিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, পেচার দ্বীপ সৈকতে কোন ধরণের লাইফ গার্ড সেবা নেই। ওখানে লোক সমাগমও তেমন হয় না। শুধু মাত্র কিছু জেলে থাকে যারা মাছ শিকার করে। পেচার দ্বীপ সৈকতের অবস্থা বুঝা যাচ্ছে না। কোথা গুপ্তখাল রয়েছে, তলদেশের কি কিছুই জানা যাচ্ছে না। কারণ সাগর প্রচণ্ড উত্তাল। তাই আপাতত অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় জেড স্কী নিয়ে সাগরে উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। শুধুমাত্র দুই জন লাইফ গার্ড কর্মী লাবনী রয়েছে, তারা লাবনী থেকে নাজিরারটেক সমুদ্রসৈকত পর্যন্ত উপকূলে টহল চালিয়ে যাবে।
ফয়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কক্সবাজারস্থ স্টেশনের উপ সহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম বলেন, আপাতত উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যেহেতু অন্ধকার, সাগর উত্তাল; তল্লাশী কার্যক্রমও চালানো যাচ্ছে না। স্রোতের টানও অনেক বেশি। এ অবস্থায় ডুবুরী নামিয়ে তল্লাশীও করা যাচ্ছে না। সাগরের পরিস্থিতি বিবেচনায় যা বুঝা যাচ্ছে, সাগর শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছু করা যাচ্ছে না। সারাদিনই ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে। আবার বুধবার সকাল থেকে ফের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীরা সাগরে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টা থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী, ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও কোস্টগার্ড। উদ্ধারকর্মীরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় অভিযান চালাতে সমস্যা হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আজিম খান বলেন, নিহত কে এম সাদমান রহমান সাবাবের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বাকি দুই শিক্ষার্থী উদ্ধারে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।