প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ বাক্য পড়ান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।

শপথ অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ, নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটির সদস্য, নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, গেল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের সমন্বয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত সচিব এএমএম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

নতুন নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা হলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। তাতে বলা হয়, ‘এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান হয় গেল ৫ আগস্ট। গণঅভ্যুত্থানের মুখে ওই দিন পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এর এক মাস পর গেল ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।  এরপর দেড় মাস ধরে শূন্য থাকার পর এখন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিগত কয়েকটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। গেল জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে বহু মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এ আন্দোলনের মূল বিষয়ই ছিল ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। এত মানুষের রক্তের সঙ্গে বেঙ্গমানি করা সম্ভব নয়। সে জন্য সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।’

নাসির উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলায়। ১৯৫৩ সালের ১ জুলাই তার জন্ম। তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করার পর শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭৭ সালে। দুই বছর পর ১৯৭৯ সালে বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন তিনি।

তিনি কর্মজীবনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। এরপর পরিকল্পনা বিভাগের সদস্য হয়েছিলেন। বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন তিনি।