প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০২৫ , ২:২৩:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিপদে পড়লেই প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকেন বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
বুধবার (২৩ জুলাই) যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, শুধু বিপদে পড়লেই প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকেন। তবে এখন থেকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঘনঘন বসবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদের পতনের পরে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছি এবং এটি রোধ করতে সরকার কার্যকর ভূমিকা নেয় নাই। গণঅভ্যুত্থানের অংশীদারদের অনৈক্যের পিছনে সুনির্দিষ্টভাবে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর বিভেদের কারণেই ফ্যাসিবাদ বারবার সুযোগ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গতকাল ২ উপদেষ্টার ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকা এবং একই সাথে সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলা দেখে মানে হচ্ছে উপদেষ্টাদের প্রতি জনগণের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। এই দুইটি ঘটনার মাধ্যমে সরকারকে দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি এই দুর্বল সরকার দিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও সঠিক সময়ে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয়ের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। তাঁকে বলেছি আপনি যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে না পারেন কিংবা ভালো নির্বাচনও নিশ্চিত করা সম্ভব না মনে করেন, তাহলে পদত্যাগ করে চলে আসুন। সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগ্রহী সকল পক্ষ মিলে আপনার নেতৃত্বে আমরা একটা নির্বাচনী অ্যালায়েন্স করি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বিমাতা সুলভ আচরণ করা হচ্ছে কি না! কোন রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় প্রটোকল পাচ্ছে, সরকারি সুবিধা পাচ্ছে আর কোন রাজনৈতিক দল এমন সুবিধা পাবে না এমন কেন হবে? এটি আমরা রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেছি। এই সরকার কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এটি সরকারের একটি বড় ব্যর্থতা। এটা খুবই দুঃখজনক যে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে, পাশাপাশি আমরা যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার এবং গণ-অভ্যুত্থানের নায়কদেরও গ্রহণযোগ্যতাও কমেছে বলে মনে করছি।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি জামায়াত এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন এই ৪টি দল একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এটি গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও এই উসকানিমূলক বক্তব্যে নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করবে।