জাতীয়

রবীন্দ্রনাথ জীবদ্দশায়,মৃত্যুর পরও তুমুলভাবে সংবর্ধিত,তেমনি সমালোচনাও কম নয়…বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক

  প্রতিনিধি ৮ মে ২০২৫ , ২:২২:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দশকের পর দশক ধরে যেমন বিপুলভাবে পঠিত তেমনি তিনি বহু জরুরি পাঠের বাইরে রয়েছে গেছেন এখনও।

তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরও যেমন তুমুলভাবে সংবর্ধিত তেমনি তাকে নিয়ে সমালোচনাও কম নয় সমাজের এই দুই প্রবণতায় রবীন্দ্রনাথের শক্তি ও প্রাসঙ্গিকতা পরিচায়ক। রবীন্দ্রনাথকে বহু বিচিত্র কোণ থেকে আবিষ্কারের সুযোগ আমরা গ্রহণ করতে পারি।

আজ ০৮ মে, বৃহস্পতিবার একাডেমির সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ্ সভাগৃহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতা, রবীন্দ্র পুরস্কার-২০২৫ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

‘রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গভঙ্গের রাজনীতি’ শীর্ষক একক বক্তৃতা করেন গবেষক ও সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক। সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসাহিত্যের গবেষণায় ড. অসীম দত্ত এবং রবীন্দ্রসংগীত চর্চায় শিল্পী এ এম এম মহীউজজামান চৌধুরী ময়নাকে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের হাতে পুষ্পস্তবক, সনদ, সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি।

অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, বঙ্গ বিরোধী আন্দোলন যুক্ত হয়ে এবং কিছুদিনের মধ্যে আন্দোলন থেকে নিজেকে বিযুক্ত করে, রবীন্দ্রনাথ স্বদেশের সংকটের মূলসহ দেশের আত্মাকে চিহ্নিত করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকারের দুর্নীতি চেয়ে তার কাছে এ দেশের দুই প্রধান সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যেকার বিভেদ ও অনৈক্যই সংকটের মূল বলে প্রতিভাত হয়েছিল।সূত্র :বাসস।

আরও খবর

Sponsered content