এ কে আজাদঃ
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) (স্টেট-৪) ঝিলমিল প্রজেক্ট'র অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মেজবাহ উদ্দিন'র বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে পাওয়া মেজবাহ উদ্দিনের অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের চুম্বক অংশের প্রথম পর্ব গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব,দুদক চেয়ারম্যান,রাজউক চেয়ারম্যান,রাজউক পরিচালক প্রশাসন,ও পাঠকদের মাঝে তুলে ধরা হলো।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক স্টেট-৪ এর আওতাধীন ঝিলমিল প্রজেক্ট'র অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মেজবাহ উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে ঝিলমিল প্রজেক্ট এর বিভিন্ন গ্রাহকদের সেল পারমিশন ফাইল আটকিয়ে ও ফাইলে বিভিন্ন জটিলতার অযুহাত দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা যাহা অধ্যবধি চলমান।
অনুসন্ধানে গিয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে আলাপকালে বেরিয়ে আসে অফিস সহকারী মেজবাহ উদ্দীনের নিত্যনতুন অভিনব পন্থা আবিষ্কারের মাধ্যমে ঝিলমিল প্রজেক্ট এর ফাইল আটকিয়ে মোটা অংকের ঘুষ নেওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজউক ঝিলমিল প্রজেক্টে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের অভিযোগ ফাইলের সকল কাগজপত্র শতভাগ সঠিক হওয়ার পরেও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মেজবাহ উদ্দিনকে তার চাহিদা মত উৎকোচ না দিয়ে কেউ কখনো রাজউক ঝিলমিল প্রজেক্টের ফাইল হারিয়ে নিতে পেরেছেন এমন কোন নজির নেই।রাজউক ঝিলমিল প্রজেক্ট'র অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মেজবাহউদ্দিন ঝিলমিল প্রজেক্ট এর ফাইল প্রতি সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে আরও জানা যায় এই সকল গ্রাহক মেজবাহ উদ্দিন'র চাহিদা মত ঘুষ প্রদান করিতে অপারগতা প্রকাশ করেন,এই সকল গ্রাহকদের ফাইল মাসকে মাস থেকে বছর পর্যন্ত আটকে রাখার মতো নজির রয়েছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মেজবাহ উদ্দিন যখন যেই সরকার ক্ষমতায় আসে ওই সরকারের ছত্র-ছায়া থেকে নিজের অনিয়ম দুর্নীতির সাম্রাজ্যকে বেগবান কাজে সিদ্ধহস্ত। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে বৃষ্টি যেই দিকে ওই দিকেই ছাতা মেজবাউদ্দিন এর ক্ষেত্রে এই প্রবাদটির হুবহু মিলে যায়।
রাজউক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মেজবাহ উদ্দিন ঝিলমিল প্রজেক্ট'র গ্রাহকদের ফাইল আটকিয়ে নিত্য নতুন অভিনব পন্থায় জিম্মি করে দীর্ঘদিন থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন এখনও নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা যাহা দেখার কেউ নেই!রাজউক ঝিলমিল প্রজেক্ট'র সূত্র থেকে জানা যায় মেজবাহ উদ্দিনকে তার চাহিদা মতো ঘুষের টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাহকদের ফাইল আটকিয়ে রাখেন,আর মেজবাহ উদ্দিনের এই সকল অনৈতিক কাজের কারণে আমরা নিজেরা বিব্রত হই।
রাজউক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মেজবাহ উদ্দিন অনিয়ম দুর্নীতির টাকায় স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনের নামে রাজধানী ঢাকার উত্তরায় গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি,রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে বেশ কয়েকটি প্লট ফ্ল্যাট ও গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় রয়েছে অঢেল সম্পদ এবং বিভিন্ন ব্যাংকে কাড়ি কাড়ি টাকার এফডিআর ও সঞ্চয় পত্র। রাজউক ঝিলমিল প্রজেক্ট'র অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মেজবাহ উদ্দিনের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক এম এস এ রেজা বলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে অধিকাংশই অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার মালিক বলে গেছেন এক কথায় রাজউক দুর্নীতি নামক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে অনেক আগেই,সেখানে মেজবাহ উদ্দিনদের মত দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের জন্ম হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।তিনি আরো বলেন এই সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে রাজউক'র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করে রাষ্ট্রের উন্নয়নে ব্যবহার করা উচিত।
এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু।পরবর্তীতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক ঝিলমিল প্রজেক্ট'র অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মেজবাহ উদ্দিন'র ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলো কোনো প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।