প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২৫ , ১:১১:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, তাঁর মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আরেক মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেছে আদালত।
বুধবার ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।
এর আগে, গত ৩১ জুলাই ঢাকার দুটি বিশেষ জজ আদালত পূর্বাচল প্লট দুর্নীতির ছয়টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্যসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করেন।
গত ১১ আগস্ট, এই একই প্রকল্পের তিন মামলায় শেখ হাসিনা ও তাঁর সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধেও সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
দুদক গত ডিসেম্বর মাসে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে। এই অভিযোগে দায়ের করা মামলাগুলোর একাধিক আসামি শুরু থেকেই এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করে বলেন, “এসব মামলার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। আমি এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক সমনও পাইনি।”
পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ নিয়ে হওয়া দুর্নীতির ছয় মামলার মধ্যে তিনটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৩ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে। ওই তিন মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ।
এই মামলাগুলোর আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্য ছাড়া আরও ১৬ জন রয়েছেন, যারা মূলত সরকারি কর্মকর্তা ও রাজউক সংশ্লিষ্ট সাবেক কর্মকর্তারা।
তারা হলেন—জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া, সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার।
আদালতের পরবর্তী কার্যক্রমে সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।