সারাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জে পাল্টে যাচ্ছে সয়াবিন তেলের বাজার?

  প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১০:৩৭:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ

সিদ্ধিরগঞ্জে বাজার মনিটরিং করে দেখা যায়, সয়াবিন তৈল বাজারে অস্থিতিশীল দেখা যায়। বেশির ভাগ দোকানেই সয়াবিন তৈল নাই। বধুবার সকালে
আদমজী নগর সোনামিয়া বাজারের আব্দুর রব মিয়া জানান,দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানির এস আর তেলের অর্ডার নিতে আসে না,তৈল নাই ডিলাররা তৈল স্টক করছে কিনা জানিনা।৫ লিটার তৈল গায়ের দামের চেয়ে বেশি দাম বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রায় নয় শত থেকে নয়শত পঞ্চাশ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন বাজার এলাকায় সয়াবিন তেলের বাজার হাহাকার ও বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
চিটাগং রোড আহসান উল্লাহ মার্কেট থেকে একজন ক্রেতা সামির কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ৫ লিটার সয়াবিন তৈল ৯ শত পঞ্চাশ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে, অনেক দোকানে সয়াবিন তৈল নাই।

স্বপন জেনারেল স্টোর মালিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমরা কোম্পানি থেকে তৈল পাচ্ছি না, আমরা ঢাকা চকবাজার, মৌলভীবাজার থেকে ডিলার থেকে উচ্চ দামে ক্রয় করে গাড়ি ভাড়া দিয়ে আনার পর বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার ও প্রশাসনের কাছে দাবি বাজার মনিটরিং করে অসাধু ব্যবসায়িকে আইনের আওতায় আনলে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হবে বলে গ্রাহক ও সাধারণ মানুষ রক্ষা পাবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেল সয়াবিন, পাম অয়েলের বাজার স্থিতিশীল। দেশেও যে পরিমাণে সয়াবিন, পাম অয়েল আমদানির পাশাপাশি পাইপ লাইনে রয়েছে তাতে আসন্ন রমজানে সংকট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু হঠাৎ পাল্টে গেল সয়াবিন তেলের বাজার! রমজানের এক মাস আগেই ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর সেই পুরোনো পথে হাঁটছেন। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। শুধু তাই নয়, খুচরা বাজারে চাহিদামতো বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে এই অবস্থা। খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, তারা চাহিদামতো বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ পাচ্ছেন না। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, প্রতি বছরই মিলাররা রমজানের আগে তেলের দাম বাড়ানোর জন্য একই কাজ করে। পাইকারি, ডিলার ও খুচরাবাজারে সয়াবিনের সরবরাহ কমিয়ে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। পরে দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারও একই পথে তারা হাঁটছেন বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশে ভোজ্য তেলের দর স্থিতিশীল রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার ভ্যাট ছাড় দিয়েছে। কিন্তু এখন মিলাররা তেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। গত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিনের বৈঠক হয়। তবে সে বৈঠকে সয়াবিন, পাম অয়েলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের মতামত চেয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেই প্রতিবেদন এখনো জমা পড়েনি। ভোজ্য তেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানিয়েছে, ২০১১ সালে সরকার একটি নীতিমালা করে। নীতিমালা অনুযায়ী, সয়াবিন তেলের দাম সময়ে সময়ে বৈশ্বিক বাজার ও অভ্যন্তরীণ খরচের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা। বর্তমানে ডলার ও অন্যান্য খরচ বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় আমরা সরকারের নীতিমালা মেনেই দর সমন্বয় করতে বলেছি।

আরও খবর

Sponsered content