আ জা আন্তর্জাতিক ডেক্স:
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সেই পাইলটরা, যারা মে মাসে ভারতীয় ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেন এবং এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেন, প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন। তাঁদের সাহসিকতার জন্য পাকিস্তান সরকার দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বীরত্ব পদক প্রদান করেছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার আইওয়ান-ই-সদরে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই পাইলটদের পদক পরিয়ে দেন।
বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয় উইং কমান্ডার মালিক রিজওয়ানুল হককে, যিনি 'অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস' পরিচালনায় ভারতের এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস করেন। এজন্য তাঁকে 'তামঘা-ই-বসালাত' পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে তাঁকে পদক পরিয়ে মঞ্চে নিজের পাশে দাঁড়াতে বলেন। জনতার উদ্দেশে বলেন, “তিনি এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস করেছেন।” এই বক্তব্যের পর উপস্থিত দর্শক করতালি দিয়ে তাকে অভিবাদন জানায়।
ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (ISPR) জানায়, 'সিতারা-ই-জুরাত' পদক পেয়েছেন উইং কমান্ডার বিলাল রাজা, উইং কমান্ডার হাম্মাদ ইবনে মাসউদ, স্কোয়াড্রন লিডার এম ইউসুফ খান, স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ ওসামা ইশফাক, স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ হাসান আনিস, স্কোয়াড্রন লিডার তালাল হাসান এবং স্কোয়াড্রন লিডার ফিদা মুহাম্মদ খান।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানকে দোষারোপ করলেও ইসলামাবাদ তা প্রত্যাখ্যান করে।
২৩ এপ্রিল ভারত বেশ কিছু প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ৬৫ বছরের পুরোনো সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তান হাইকমিশন বন্ধের নির্দেশ ও দূতাবাসে কর্মীসংখ্যা কমানো অন্তর্ভুক্ত।
০৭ মে ভোরে ভারত পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মিরের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে একটি মসজিদ ধ্বংস হয় এবং বহু বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান।
জবাবে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাল্টা হামলা চালিয়ে ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে, যার মধ্যে তিনটি রাফাল জেট ছিল। ১০ মে ভারত পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’ শুরু করে, যা ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মধ্যরাতভর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। পরে উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা নিশ্চিত করে।