অর্থনীতি

আয়কর রিটার্ন অডিট কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে…এনবিআর

  প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২৫ , ১:৪৬:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

আ জা ডেক্স:

আয়কর রিটার্ন অডিট কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়বে এবং করদাতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (১৭ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, ‘আয়কর রিটার্ন অডিট নির্দেশনা, ২০২৫’ শিরোনামে জারি করা এই নীতিমালায় রিটার্ন যাচাই থেকে শুরু করে অডিট পরিচালনা, প্রতিবেদন তৈরি ও নিষ্পত্তির প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর ১৮০ ও ১৮২ ধারার ভিত্তিতে রিটার্নে কোনো অসঙ্গতি বা ঝুঁকি শনাক্ত হলে তা অডিটের আওতায় আনা হবে। এর মূল লক্ষ্য কর ফাঁকি প্রতিরোধ, কর সংস্কৃতি উন্নয়ন এবং কর আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন।

রিটার্ন নির্বাচন পদ্ধতি
অডিটের জন্য রিটার্ন বাছাই হবে ঝুঁকিভিত্তিক পদ্ধতিতে, যেখানে একটি অটোমেটেড সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। এতে মানবীয় হস্তক্ষেপ কম থাকবে। তবে যেসব রিটার্ন কাগজে দাখিল করা হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে আপাতত র‌্যান্ডম বাছাই চালু থাকবে। কোম্পানি ও অন্যান্য করদাতাদের রিটার্ন আলাদাভাবে যাচাই করে বোর্ড অনুমোদিতভাবে নির্বাচন করা হবে।

ইতোমধ্যে প্রসেসকৃত রিটার্ন বা নতুন করদাতাদের প্রথম রিটার্ন সাধারণত অডিটে নেওয়া হবে না, যদি না এতে সুস্পষ্ট রাজস্ব ক্ষতির আলামত থাকে। একই করদাতাকে টানা তিন বছর অডিটে না আনার বিধান রয়েছে। তবে লোকসান, শূন্য আয় বা অস্বাভাবিকভাবে কম আয় দেখালে অডিট করা যাবে। যেসব করদাতার রিটার্ন আগে কখনও অডিট হয়নি, তাদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ নির্বাচন করা হবে।

অডিট প্রক্রিয়া
রিটার্ন নির্বাচন হলে ৩০ দিনের মধ্যে করদাতাকে নোটিশ পাঠানো হবে। করদাতা সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিলে অডিট থেকে অব্যাহতি মিলতে পারে। না হলে কর পরিদর্শক মাঠপর্যায়ে তদন্ত করে প্রমাণ সংগ্রহ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

করদাতা চাইলে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। এমনটি হলে অডিট নিষ্পত্তি হবে, না হলে প্রযোজ্য আইনে কর নির্ধারণ করা হবে। অগ্রগতির মাসিক প্রতিবেদন বোর্ডে পাঠানো বাধ্যতামূলক।

ব্যক্তি করদাতাদের অডিটে বিশেষ নজর
ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্নে বেতন, ব্যাংক জমা, ভাড়া, কৃষি, রেমিট্যান্স, বিনিয়োগ ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সংগতি খুঁটিয়ে দেখা হবে।

কোম্পানি করদাতাদের ক্ষেত্রেও কঠোরতা
কোম্পানিগুলোর জন্য নিরীক্ষিত হিসাব দাখিল বাধ্যতামূলক। অডিটে দেখা হবে—টার্নওভার ও ব্যাংক জমার সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রয়েছে কি না, অপ্রাসঙ্গিক খরচ দেখানো হয়েছে কিনা, উৎসে কর ঠিকভাবে কাটা হয়েছে কি না, ঋণ বা দেনা যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে কি না এবং আইন মেনে হিসাব দেওয়া হয়েছে কি না।

আরও খবর

Sponsered content