প্রতিনিধি ১৫ আগস্ট ২০২৫ , ৩:০৩:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। তার মতে, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বয়কটের পথে হাঁটবে, তারা শেষ পর্যন্ত জাতীয় রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়বে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাচন নিয়ে যারা বলছেন, দাবি পূরণ না হলে, সংস্কার না হলে, বিচার না হলে নির্বাচন হবে না— এসব হচ্ছে মাঠের বক্তব্য। বাস্তবতা হলো, নির্বাচন যথাসময়ে ফেব্রুয়ারিতেই হবে।
তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের পরিবেশ ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে এবং জাতির সামনে এখন আর কোনো বিকল্প নেই। তার ভাষায়, “প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে ভাষণে জানিয়েছেন, যেসব সংস্কার প্রস্তাবে জাতীয় ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়নে পরবর্তী সংসদ পদক্ষেপ নেবে। আমরাও সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমরা জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করব।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরির চেষ্টা চলছে। কেউ চাইছে নির্বাচন বিলম্ব হোক, কেউ চাইছে অনিশ্চয়তা তৈরি হোক— কিন্তু জাতি এখন এসব প্রচেষ্টাকে চিহ্নিত করতে শিখেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
ভোটাধিকারকে জনগণের দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত সর্ববৃহৎ অধিকার আখ্যা দিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, এ অধিকার এখন ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। যারা এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে, জনগণই তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
নির্বাচনপন্থী অবস্থান তুলে ধরে তিনি জানান, “আমরা ইতোমধ্যে দলের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করেছি। আমরা তাদের সঙ্গেই জোট করব, যারা যুগপৎ আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে ছিল। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে চাই আমরা।
এ সময় তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির কোনো নির্বাচনী জোট গঠনের সম্ভাবনা নেই। “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী জোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই,” বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও সতর্ক করে বলেন, “যারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নির্বাচন বয়কটের চেষ্টা করবে, তারা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে জায়গা হারাবে। জনগণ এমন কোনো শক্তিকে আর গ্রহণ করবে না, যারা গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।