প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২৫ , ৩:৩২:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা: ছেঁড়া ও ফাটা নোট গ্রহণ না করার অভিযোগে যমুনা ব্যাংক রূপসী শাখা রূপগঞ্জের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যদি এই নোট না নেয়, তবে তা সাধারণ মানুষের জন্য বড় ধরনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা
বাংলাদেশ ব্যাংক বহুদিন ধরেই সব ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়ে আসছে গ্রাহকের কাছ থেকে ছেঁড়া, ফাটা, পুরনো কিংবা ময়লা নোট গ্রহণ করতে হবে। এসব নোট ব্যাংক শাখাগুলো গ্রাহকের কাছ থেকে সংগ্রহ করে পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেবে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক সেগুলো বাজার থেকে তুলে নিয়ে পরিবর্তে নতুন নোট ছাড়ে। এর মাধ্যমে টাকার বাজারে অবাধ প্রবাহ ও জনগণের সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
গ্রাহকের অভিজ্ঞতা
ঢাকার এক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন,“আমি যমুনা ব্যাংকের এক শাখায় ছেঁড়া পাঁচশ টাকার নোট জমা দিতে গেলে কর্মকর্তারা নিতে অস্বীকার করেন। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী তাদের নেওয়ার কথা। এতে আমি বিব্রত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”এমন অভিজ্ঞতা একাধিক গ্রাহকও জানিয়েছেন।
এর প্রভাব
🔹 গ্রাহকের ভোগান্তি: হাতে থাকা ছেঁড়া বা পুরনো নোট অচল হয়ে পড়ে। বাজারে তা দিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব হয় না।
🔹 ব্যবসায়ীদের অনীহা: ব্যাংক না নিলে দোকানপাটেও ব্যবসায়ীরা এসব নোট নিতে রাজি হন না। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বিতর্কের জন্ম হয়।
🔹 অর্থনীতিতে প্রভাব: প্রচলিত টাকার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
বিশেষজ্ঞ মত
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকগুলো যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে, তাহলে তা শুধু গ্রাহক সেবার ব্যর্থতাই নয়, বরং আর্থিক নীতির প্রতি অবমাননা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও কঠোর হতে হবে এবং দায়ী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
করণীয়
যদি কোনো ব্যাংক ছেঁড়া নোট গ্রহণ না করে, গ্রাহকরা সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাস্টমার কমপ্লেইন্ট সেলে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করা যেতে পারে।