আন্তজার্তিক

হিজবুল্লাহকেও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে…ইরান

  প্রতিনিধি ২৫ আগস্ট ২০২৫ , ৬:১৫:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

আ জা আন্তর্জাতিক ডেক্স:

  • মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রতিক্রিয়ায় আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। ইসরাইলের সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্নেল (অব.) ড. জ্যাক নেরিয়াহ এমন সতর্কতা দিয়ে জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহকেও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে তেহরান।

রেডিও সাক্ষাৎকারে নেরিয়াহ বলেন, “হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে, যা একটি আসন্ন সামরিক অভিযানের স্পষ্ট ইঙ্গিত।” তার দাবি, ইরান গত কয়েক সপ্তাহের অপমান ও হামলার প্রতিশোধ নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সিরিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি?

নেরিয়াহ আরও বলেন, সিরিয়া বর্তমানে ১৯৭৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি পুনর্নবীকরণের আগ্রহ দেখাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব আহমেদ আল-শারাহ হিজবুল্লাহর অস্ত্র সরবরাহে বাধা দিচ্ছে এবং গোষ্ঠীটির পুনর্গঠন ঠেকাচ্ছে, যা ইসরাইলের জন্য ইতিবাচক সংকেত।

তবে নেরিয়াহ সতর্ক করে বলেন, তেহরান এ পরিবর্তনে সন্তুষ্ট নয়। “ইরান এখন শারাহ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চায়,” মন্তব্য করেন তিনি।

খামেনির হুঁশিয়ারি: “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথানত করব না”

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রোববার তেহরানের এক মসজিদে বক্তব্যে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো ইরানকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। কিন্তু ইরান কখনোই মাথানত করবে না।” তিনি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী অবস্থানে।

ইরানি সেনাবাহিনীর হুশিয়ারি

ইরানের সেনাবাহিনী সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “যেকোনো আক্রমণে কঠোর ও চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে।” তারা সর্বোচ্চ নেতার দিকনির্দেশনায় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ইউরোপের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা

এদিকে, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আজ (সোমবার) জেনেভায় বৈঠকে বসছে ইরান ও ইউরোপীয় দেশগুলো: ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। এটি ইরান-ইসরাইলের ১২ দিনের যুদ্ধ পরবর্তী দ্বিতীয় কূটনৈতিক বৈঠক।

বৈঠকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ হ্রাস এবং আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা পুনরায় শুরু করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। ইউরোপ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইরান চুক্তির শর্ত না মানলে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ সক্রিয় করা হবে, যার ফলে আগের সব জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা পুনরায় কার্যকর হতে পারে।

তবে ইরান এই হুমকিকে বেআইনি ও একতরফা বলেই অভিহিত করছে। তাদের অভিযোগ, ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো নিজেরাই চুক্তি ঠিকভাবে মানছে না।

আরও খবর

Sponsered content